দক্ষিণ আন্দামান সাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে, যা ঘনীভূত হয়ে ধাপে ধাপে ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিতে পারে। মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন জানান, লঘুচাপটি বুধবার নাগাদ সুস্পষ্ট লঘুচাপের রূপ নেবে। এরপর আরও ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে।
তিনি বলেন, নিম্নচাপের রূপ নেওয়ার পর আরও ঘনীভূত হলে এর গতি-প্রকৃতি, অবস্থান স্পষ্ট করা হবে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে আবহাওয়ার সতর্কবার্তা দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, দক্ষিণ আন্দামান সাগর ও আশপাশের এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে।
আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
বুধবারের পূর্বাভাসেও বলা হয়, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
ভারতীয় আবহাওয়া অফিস বলছে, লঘুচাপটি নিম্নচাপ, গভীর নিম্নচাপ দশা পেরিয়ে ২ ডিসেম্বর নাগাদ ঘূর্ণিঝড়ের রূপ পেতে পারে। তখন এর নাম হবে মিগযাউম। এটা মিয়ানমারের দেওয়া নাম।
আরব সাগর ও বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেয় বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার সাইক্লোন সংক্রান্ত আঞ্চলিক সংস্থা এসকাপ। এ অঞ্চলের ১৩টি দেশের দেওয়া নামের তালিকা থেকে পর্যায়ক্রমে নতুন ঘূর্ণিঝড়ের নাম ঠিক করা হয়।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া সবশেষ ঘূর্ণিঝড়টির নাম ছিল ‘মিধিলি’ যা মালদ্বীপের দেওয়া নাম। গত ১৭ নভেম্বর দুপুরে ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার গতির বাতাসের শক্তি নিয়ে খেপুপাড়ার কাছ দিয়ে উপকূলে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড়টি। তাতে গাছপালা ও ফসলের ক্ষতি ছাড়াও মৃত্যু হয় ৯ জনের।